ইস’রা’ই’লের বর্বর হা’ম’লার প্রতিবাদ হিসেবে মাঠে ফিলি’স্তিনের পতাকা তুলে রাতা’রাতি তারকা বনে যান বাংলাদেশী বংশ’ভূত ইউরোপীয়ান ফুটবল তারকা হামজা চৌধুরী।
বাংলাদেশের হবিগ’ঞ্জের বাহু’বল উপ’জে’লার স্না’নঘাট গ্রামে জন্ম মোর্শেদ চৌ’ধুরীর। তার দাবি বেশ কিছু গণমা’ধ্যম জানিয়ে আসছে, স্নান’ঘাট হামজার নানা বাড়ি। আস’লে নানা বাড়ি নয় সেটা দা’দা বাড়ি।
‘হাম’জার নানা বাড়ি হবিগ’ঞ্জের নবী’গঞ্জের বনগাঁও গ্রামে। তবে তাদের পরি’বারের সবাই ইংল্যান্ডেই থাকেন। হামজা ছোট থেকে আমা’র বাবা বাড়ি অর্থাৎ তার দাদার বাড়িতেই যাতা’য়াত করে আসছে।’
‘যখন আমাকে হাম’জার সৎ বাবা বলা হয় তখন খুব ক’ষ্ট পাই। হাম’জা নিজেও বিষয়টি নিয়ে মন খা’রাপ করে। মাত্র নয় মাস ছিল তার বয়স। তখন থেকেই আমি ও তার মা তাকে বড় করেছি। বাংলা-সিলেটি বলা, ইস’লাম চর্চা সব কিছুই ছোট থেকে পরি’বারের কাছেই শিখেছে।
নিজেকে বাংলাদেশি ব্রিটিশ বলতে গর্ব’বোধ করে সে।’ সাংবাদি’কদের কথা’গুলো বলছিলেন লেস্টার সি’টির হয়ে এফএফ কাপ জয়ী হামজা চৌধুরীর বাবা দেওয়ান গো’লাম মোর্শেদ চৌধুরী।
লন্ড’নের ওয়ে’ম্বলি স্টেডি’য়ামে চেল’সির বিপ’ক্ষে ইংলিশ এই টুর্না’মে’ন্টের ফাই’নালে ১-০ গোলে জয় পায় লেস্টার। শিরোপা উদযাপনের সময় ফিলি’স্তি’নের পতাকা হাতে সবার নজর কাড়েন হা’মজা।
লেস্টা’রের এই মিড’ফি’ল্ডার জন্ম’দাতা বাবা ছিলেন গ্রানা’ডার। মোর্শেদ চৌধুরীর সঙ্গে মা রাফিয়া চৌধু”রীর বিয়ে হয়। তা’দের কাছেই বড় হয়েছেন। মো’র্শেদ-রাফি’য়ার ঘরে আরও তিন স’ন্তান রয়েছে। তাছনীম, মেহেদী, মাহীর মধ্যে হাম’জাই সবার বড়।
সেদিন ফাইনালে মাহী ছাড়া সবাই উপ’স্থিত ছিলেন গ্যা’লারিতে। প্রথম’বার এমন ট্রফি জয়ের আন’ন্দের শেষ ছিল না পরি’বারের সদস্যদের। তার মধ্যে হঠাৎ সবাই দেখতে পান হাম’জার হাতে ফি’লিস্তি’নের পতাকা।
হোয়া’টসঅ্যা’পের মাধ্যমে ফোন আ’লাপে মোর্শেদ চৌধু’রী বলেন, ‘পতাকা নিয়েই চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মেডেল হাতে তুলে হামজা। সত্যি বলতে ওই মুহূ’র্তে আমা’দের চোখে পানি চলে আসে।
আ’রা একে অ’প’রকে জড়ি’য়ে ধরি। আমা’দের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন হামজার স্ত্রী’’ও। তখন সে বলছিল, এর চাইতে ভালো কিছু আর হতেই পারে না।’
লেস্টার সিটি’তেই ফুটবলে হাতেখড়ি। খেলেছেন ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-২১ জা’তীয় দলের জার্সিতে। ২০১৬ সালে ইংলিশ ইন্টে’রিয়র ডি’জাইনার অলিভিয়া ফাউ’ন্টে’নের সঙ্গে পরিচয় হাম’জার। পরের বছর বিয়ে করেন তারা। তার আগে খ্রিস্টান ধ’র্ম ত্যাগ করে ইস’লাম ধ’র্ম গ্রহণ করেন অলিভিয়া।
তাদের রয়েছে দুই সন্তান। ২০১৮ সালে কোল’জুড়ে আসে মে’য়ে। নাম এনাইয়া। ২০২০ সালে ছে’লে ঈ’সার জন্ম। হামজা-অলি’ভিয়া প্রথমে লে’স্টারের অ্যা’লেস্টন এলা’কায় পরিবা’রের সঙ্গেই থাকতেন। সম্প্রতি আ’লাদা বাসা নিয়েছেন। তবে উৎসব ও ছুটির দিনগুলো চৌধুরী পরিবার এক’সঙ্গেই পালন করে থাকেন তারা।
হাম’জার বাবা বলেন, ‘২০১৭ সালে স্থা’নীয় মস’জিদে আনু’ষ্ঠানি’কভাবে শাহা’দা বাক্য পাঠ করে অলি’ভিয়া। তারপর তাদের বিয়ে হয়। কয়েক’দিন আগেই গেল ঈদুল ফিতর। আমা’র ছে’লের বৌ (অলি’ভিয়া) সব আ’য়োজন করেছিল। খাবার, সাজ-সজ্জা সব কিছুর দা’য়িত্ব নিয়েছিল।
এবারের ঈদে আমা”র কাছে বিশেষ। আম’রা সবাই মিলে উদ’যাপন করেছি। বিশেষ করে নাতনী (এনাইয়া) এগু’লো দেখে এতটাই খুশী হয় যে পরদিনও বলছিল, কবে ঈদ আসবে। কোর’বানি ঈদেও আম’রা উদযা’পন করবো। তাকে আরও দুই মাস অ’পেক্ষা করতে বলেছি।’
সম্প্রতি ইস’লাই’লের বর্বর হা’ম’লার প্রতি’বাদ হিসেবে মাঠে ফি’লিস্তি’নের পতা’কা তুলে নেন হা’মজা। তার পর থেকে বাংলাদেশ থেকে আ’ত্মী’য়রা অ’ভিন’ন্দন জানা’চ্ছে তার পরিবা’রকে। শুধু তাই নয় ইংল্যা’ন্ডে থাকা মু’স’লমান’রাও তাদের শুভে’চ্ছা জানাচ্ছেন।
মোর্শেদ বলেন, ‘বাংলা’দেশি ছাড়াও ভা’রত, পা’কি’স্তান ও মধ্য’প্রা’চ্যের অনেকে মু’স’লমান আমা’দের প্রতি’বেশী। তারা হাম’জা’র জন্য আমাদের অ’ভিন’ন্দন জানাচ্ছেন। দেশ থেকেও ফোন করে সবাই তার প্রশং’সা করছেন। সবা’ই তার জন্য গর্বি’ত।’